In Stock

Berry Beach Powde I জাম বিচি গুঁড়া – 100gm

85৳ 

জামের বিচি গুড়া ও জাম গাছের বিভিন্ন অংশের ঔষধিগুণ

 

জামের বিচি গুড়া শর্করাযুক্ত বহুমূত্র রোগে ব্যবহৃত হয়। পাকস্থলী, প্লীহা ও যকৃতের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং রক্ত ও পিত্তের প্রকোপ প্রশমিত করে। উদরাময়, আমাশয়, অর্শ, বমি ও বমিভাব নির্বারণ করে। এছাড়া হজমকারক, দাঁতের গোড়া ও মাড়ির শক্তি বৃদ্ধি করে।

Description

ডায়াবেটিস রোগ:

রোগপ্রতিকারে জাম ডায়াবেটিসে ডায়াবেটিস রোগী, যাদের হাইব্লাডপ্রেসার নাই এক্ষেত্রে ১ চা–চামচ পরিমাণ সদ্য সংগ্রহকৃত জামের বিচি গুড়া সকাল–সন্ধ্যায় সেবন করলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।

 

রক্ত আমাশয়ে:

জামের পাতার রস ৩ চা–চামচ পরিমাণ তাতে সমপরিমাণ ছাগীর দুধ মিশিয়ে সকাল–সন্ধ্যায় খালি পেটে সেবন করালে ৫–৭ দিনের মধ্যে রক্ত আমাশয় বন্ধ হয়ে যায়।

 

রক্তাতি সারে:

জামের কচি পাতার রস ৩ চা–চামচ, আমলকীর কচি পাতার রস ৩ চা–চামচ, ছাগীর দুধ ৩ চা–চামচ এবং মধু ২ চা–চামচ একত্রে মিশ্রিত করে সকাল–সন্ধ্যায় খালি পেটে সেবন করলে ১–২ দিনের মধ্যেই উপকার দর্শে।

 

বমনে:

পিত্ত–বিকৃতজনিত কারণে যখন বমি হতে থাকে, সে সময় ২–১ টি কচি জাম পাতা কুচি কুচি করে ১ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে অর্ধেক করে তাতে ১ চা–চামচ মধু মিশিয়ে সেবন করালে বমি বন্ধ হয় এবং বমি বমি ভাব দূর হয়।

 

শুক্রতারল্যে:

জামের পুরোনো আঁটি এবং আমের পুরোনো আঁটির শাঁস সমান পরিমাণ নিয়ে চূর্ণ করে সংরক্ষণ করুন। এই চূর্ণ মিহিনগুঁড়ো করতে হবে। ঐ চূর্ণ সকালে ২ চা–চামচ এবং সন্ধ্যায় ২ চা–চামচ নিয়মিত ১৫ দিন সেবন করলেই বীর্য গাঢ় হয় এবং রতিশক্তি বেড়ে যায়।

 

দাঁত নড়া ও মাড়ির দুর্বলতায়:

জামের ছাল দাঁত নড়া এবং মাড়ির দুর্বলতায়  পরিমাণমত নিয়ে ৩ গুণ পানিতে ভিজিয়ে সিদ্ধ করে অর্ধেক হলে ঐ পানির দ্বারা গড়গড়া করলে ৫–৭ দিনেই উপকার পাওয়া যায়।

 

দাঁতের গোড়া নরম হলে:

জামের পাতা শুকিয়ে মিহিন গুঁড়ো করে সেই গুঁড়ো দিয়ে সকাল–বিকাল দাঁত মাজলে দাঁতের গোড়া শক্ত হয়।

 

পোড়া স্থানের সাদা দাগ সারাতে:

জামের পাতা আগুনে পুড়ে কোন স্থান সাদা হয়ে থাকলে এক্ষেত্রে  পিষে আগুনের পোড়া সাদা স্থানে প্রলেপ দিলে ঐ স্থান গায়ের স্বাভাবিক রঙের সাথে মিশে যায়। কিছুদিন ব্যবহার করলে সাদা চিহ্ন আর থাকে না, সেরে যায়।

 

যকৃতের দুর্বলতায়:

যকৃতের কার্যক্ষমতা বাড়াতে জামের সির্কা ৩ চা–চামচ পরিমাণ প্রতিদিন ৩ বেলা আহারের পর পর ১৫ দিন সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।

 

পাকস্থলীর দুর্বলতায়:

পাকস্থলীর দুর্বলতার কারণে যাদের খাবার ঠিকমত হজম হচ্ছে না, এক্ষেত্রে ১টি পিঁয়াজ কুচি এবং অর্ধেক আদা কুচি আধা কাপ জামের সির্কায় আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে দুপুরে এবং রাতে আহারের মাঝে খেলে খাবার ভালভাবে হজম হয়।

 

মেহ রোগে:

প্রসাবের সাথে যাদের ধাতু নির্গত হয় এক্ষেত্রে জামের ২৪ গ্রাম ফুল, ২৫০ মিলিলিটার পানিতে ভিজিয়ে পিষে বা বেটে নিতে হবে। এরপর মিহিন কাপড়ে ছেঁকে তাতে দ্বিগুণ মিছরী মিশিয়ে শরবত তৈরি করে বোতলে সংরক্ষণ করুন। এই সরবত প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় ৩ চা–চামচ পরিমাণ খালি পেটে সেবন করলে মেহ রোগে আরাম পাওয়া যায়।

 

মাথার ঘায়ে:

মাথায় ঘা হয়ে যাদের চুল পড়ে যাচ্ছে এমন অবস্থায় পাকা জামের বিচি ছাড়িয়ে রস  ও মজ্জা দিয়ে মাথায় লেপ দিলে ১০–১৫ দিনের মধ্যেই ঘা শুকিয়ে যায় এবং মাথায় নতুন চুল গজায়।

 

সাবধানতা:

শীতল প্রকৃতির মানুষ যারা অর্থাৎ অল্প ঠান্ডা বা আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথেই সর্দি–কাশিতে ভুগতে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে বেশি পরিমাণ অর্থাৎ অতিরিক্ত মাত্রায় জাম না খাওয়াই উত্তম। তবে, অল্প পরিমাণ নিয়ম মেনে খেলে অসুবিধা নেই।

Additional information

Weight .1 kg