মেথি (Fenugreek) একটি ঔষধি মশলা যা যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে, ডায়েবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, রক্তের কোলেস্ট্রল কমাতে, আমাশয়, বাত, অর্শ, প্রসব পরবর্তী সমস্যায়, হাইপার এসিডিটি, গ্যাস্ট্রাইটিস এ কার্যকর ।
প্রসব পরবর্তি ব্যাথা, ব্যাথাযুক্ত মাসিক, স্ত্রী জননাঙ্গের অন্যান্য সমস্যায় কার্যকর। মেথি ত্বকের লাবন্য ফিরিয়ে আনতে ও উজ্জলতা বৃদ্ধিতে খুবই উপকারী।
আমাদের নারিকেলের নারু নাটরের খেজুরের গুর ও নারিকেলের সংমিশ্রনে তৈরি। কোনো প্রকার ক্যামিক্যাল ব্যবহৃত হয় না। নারিকেল থেকে দুধ পৃথক করা হয় না, ফলে শতভাগ প্রাকৃতিক স্বাদ বিদ্যমান থাকে। সম্পূর্ন ঘরোয়া ভাবে তৈরি।
নিম ,ঔষধি গাছ যার ডাল, পাতা, রস, সবই কাজে লাগে। শুধু নিম দিয়েই নিরাময় হয় ২২টি রোগ। নিমের পাতা থেকে আজকাল প্রসাধনীও তৈরি হচ্ছে। কৃমিনাশক হিসেবে নিমের রস খুবই কার্যকর। নিমের কাঠও খুবই শক্ত। এ কাঠে কখনো ঘুণ ধরে না। পোকা বাসা বাঁধে না। উইপোকা খেতে পারে না। নিমের এই গুনাগুণের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা‘একুশ শতকের বৃক্ষ’ বলে ঘোষণা করেছে।
পৃথিবীতে বিস্ময়কর ঔষধি গুণাগুণসম্পন্ন ভেষজ উপাদানসমূহের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ফল যা সবার কাছে সুপরিচিত ভেষজ-আমলকী, হরীতরকী ও বহেড়া। এই তিনটি ফলকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে একত্রে ত্রিফলা বলে। ইউনানী পরিভাষায় একে বলা হয় ত্রিফল।
রোগ প্রতিরোধ, বলবৃদ্ধি, অকালবার্ধক্য রোধ, দেহের টক্সিন/ বিষাক্ত বস্তু নিঃসরন, রেচক – মোট কথা শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য যা লাগে সব আছে” ত্রিফলা তে”। এ জন্যই বলা হয় – ” সকল রোগের এক বিধান, দিনে দুবেলা ত্রিফলা খান ”
চিনাবাদাম একটি উচ্চ পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্য। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, সোডিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম ,ফাইবার ভিটামিন-এ ,ভিটামিন-বি ,ভিটামিন-সি সহ নানায়াম মাইক্রো পুষ্টি উপাদান। চিনাবাদাম খারাপ কোলেস্টেরল কমায়, পাকস্থলী ক্যান্সার রোধ করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ত্বক উজ্জ্বল করে, মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরের ওজন কমায় সহ নানা উপকারে আসে।
রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে আগের দিন রাতে দুধে অথবা পানিতে ভিজিয়ে রাখা ৬/৭ টা বাদাম খান। এতে বাদামের পুষ্টিগুণ শরীরে তাড়াতাড়ি হজম হবে। পেস্তাবাদামে রয়েছে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী। ফলে পেস্তা বাদাম হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাতে কার্যকর।
পেটের প্রায় সব ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ইসুবগুল হতে পারে এক উত্তম ওষুধ। পেট ঠাণ্ডা রাখতে ইসুবগুল ভুসির ভূমিকা অনন্য। এটি শুধু পাকস্থলী পরিষ্কার রাখতেই সাহায্য করে না এটি পাকস্থলীর ভেতরের খাবারের চলাচলেও এবং পাকস্থলীর বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনেও সাহায্য করে।