শতমূল (Asparagus) এমন একটি ভেষজ/হার্বস যা সাধারন বলকারক, যৌন শক্তি বর্ধক, শুক্র গাঢ় কারক, শুক্র সৃষ্টি কারক, পুষ্টি কারক এবং দুগ্ধ বর্ধক । শুক্র মেহ, স্নায়বিক দূর্বলতা, মূত্র কৃচ্ছতা, মানসিক দুর্বলতা এবং যৌন দুর্বলতায় বিশেষ উপকারী ।
আমাদের পাটালি গুর নাটর হতে সংগৃহীত। সকল ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শ ছাড়া, রঙ, হাইড্রোজ বা চিনির মিশেল ছাড়াই, স্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিজস্ব তত্তাবধানে তৈরী খেজুরের গুড়।
খেজুর গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করে এরপর তা জ্বাল দিয়ে বানানো হয় খেজুরের গুড়। আর সেই খাঁটি গুড় থেকেই তৈরী হয় “খেজুরের গুড়ের সারিন ছানার সন্দেশ”। এটি সিরাজঞ্জের বিখ্যাত সন্দেশ।
ছানার সাথে খাঁটি খেজুরের গুড় মিশিয়ে তৈরী করা হয় মজাদার এই সন্দেশ।
আমাদের তালের গুর বাঘেরহাট থেকে সংগ্রহীত। ক্যামিক্যাল মুক্ত, শতভাগ ন্যাচারাল। বাঘেরহাটে স্থানীয় ভাবে উৎপাদন হওয়ায় এর গুনগত মান সন্তুষ্ট জনক। ডায়াবেটিস রোগিদের জন্য এ গুর ক্ষতিকর নয় বরং উপকারি।
যাদের প্রস্রাবের অসুবিধা তাদের এই তালমূলী বাটার সরবৎ প্রত্যেকদিন একবার বা দুবার খেতে হয়।
২। শুক্রক্ষয়ে (শুক্রতাল্পতায়) :-
অল্প বয়সে কু-অভ্যাসের ফলে যাদের শরীরের শুক্রবল কষে যেতে থাকে—তাদের প্রত্যেকদিন সকালে ও বিকালে ৫/৭ গ্রাম কাচা মূল বেটে একটু দুধ ও চিনি মিশিয়ে সরবৎ করে খেতে হয়। শুক্রবলও বেড়ে যায়।
৩। মাসিক ঋতুর বেশী পরিমাণে স্রাব হলে :-
যে মেয়েদের মাসিক-এর সময় বেশী স্রাব হয় তাকে রক্তপ্রদর বলে। এই রােগের আর এক লক্ষণ জননদ্বারে এক ধরণের ক্ষত বা ঘা দেখা যায়। এই অবস্থায় ৫/৬ গ্রাম তালমূলী বেটে সরবৎ করে কিছুদিন খেলে মেয়েরা এই রােগের হাত থেকে বেঁচে যাবে।
৪| অর্শ :-
যাদের অর্শ হয় (অর্থাৎ পায়খানার সঙ্গে রক্ত পড়ে বা পায়খানা করতে গেলে প্রবল বেগ হয়) তাদের ৫/৬ গ্রাম কাচা তালমূল পিষে মাখন, মিশ্রি মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয় যায়।
তেঁতুল বীজ বলকারক, শরীরের দূর্বলতা দূর করে, দ্রুত বীর্যপাত রোধ করে ও যৌনশক্তি বৃদ্ধি করে, বীর্যের উৎপাদন, শুক্রের উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ বন্ধ করে। মহিলাদের জরায়ুর শক্তিবর্ধন করে ।
দামে কম হলেও পুষ্টিগুন এর দিক থেকে তোকমা অনেক এগিয়ে। ওজন কমানোর জন্য জন্য যারা বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরন করে থাকে তাদের মধ্যে তোকমা সম্পর্কে জানে না এমন মানুষের সংখ্যা অনেক কম। আর আমার মনে হয় তোকমার পুষ্টিগুন শুনে আপনি এতো সময় ধারনা করে ফলেছেন এর উপকারিতা কেমন হতে পারে। তো চলুন তোকমার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাকঃ
পৃথিবীতে বিস্ময়কর ঔষধি গুণাগুণসম্পন্ন ভেষজ উপাদানসমূহের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ফল যা সবার কাছে সুপরিচিত ভেষজ-আমলকী, হরীতরকী ও বহেড়া। এই তিনটি ফলকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে একত্রে ত্রিফলা বলে। ইউনানী পরিভাষায় একে বলা হয় ত্রিফল।
রোগ প্রতিরোধ, বলবৃদ্ধি, অকালবার্ধক্য রোধ, দেহের টক্সিন/ বিষাক্ত বস্তু নিঃসরন, রেচক – মোট কথা শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য যা লাগে সব আছে ” ত্রিফলা তে”। এ জন্যই বলা হয় – ” সকল রোগের এক বিধান, দিনে দুবেলা ত্রিফলা খান ”